সুস্থ রাখুন বর্তমান, শক্ত হোক প্রজন্ম`🌿

black and white bed linen

বিশ্বাসে খাঁটি, স্বাদে ঘরোয়া – সাহাবীসোর্সিং..কম

আমি রোজনীন সারাহ (তৃণা)।বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার্স শেষ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ই.টি.পি প্ল্যান্ট এর ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। সারাজীবনই ক্যারিয়ার ওরিয়েন্টেড মেয়ে আমি।

সাহাবীসোর্সিং..কম-এর শুরুটা হয়েছিল একেবারে ঘরের ভেতর থেকে — একজন মা হিসেবে নিজের সন্তানের জন্য নিরাপদ ও খাঁটি খাদ্যপণ্যের খোঁজ থেকেই এই যাত্রার সূচনা। যখন এমন কিছু উৎস পাওয়া গেল যেগুলো বিশ্বাসযোগ্য, তখন মনে হলো — যদি এই উৎস থেকে আরও কিছু পরিচিত পরিবারের জন্যও গ্রোসারি ও ডেইরি পণ্যের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে তারাও বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা পাবে।সেখান থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে একটি সাপ্লাই চেইন — খাঁটি ও নির্ভরযোগ্য খাদ্যপণ্য সরবরাহের মাধ্যমে।

এভাবেই ২০২০ সালের মার্চ মাসের ৬ তারিখ থেকে, ভার্চুয়ালি যাত্রা শুরু করে আমাদের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সাহাবী সোর্সিং.কম। এটি মূলত নিরাপদ গ্রোসারি এবং ডেইরি আইটেম নিয়ে কাজ করছে।

শুরুর দিকের জার্নিটা বেশ কঠিন ছিলো। প্রথমেই মাথায় আনতে হয়েছে নিরাপদ খাবারের সোর্সিং। তাই চাকরি ছেড়ে পুরোদমে ব্যবসার কাজে নেমে পরলাম। উদ্দেশ্য একটাই ভালো খাওয়ানো আর নিজের একটা স্থায়ী পরিচয়। আমার উদ্যেগের পুরো ব্যবস্থাপনাই আমাদের পুরো সোর্সিং টিম দ্বারা পরিচালিত। কোয়ালিটি আমাদের কাছে মুখ্য। এই ক্ষেত্রে আমরা কোনভাবেই কম্প্রোমাইজ করছি না।। কাচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে পুরো প্রোসেসিং এবং প্যাকেজিং প্রতিটি ক্ষেত্র আমি নিজেই মনিটরিং করে আসছি শুরু থেকেই। তাই ধীরে ধীরে এই ৫ বছরে কাস্টমারদের আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে সাহাবী সোর্সিং.কম। চাকুরী ছেড়ে বেশ বড় রকমেত রিস্ক নিয়ে ফেলেছিলাম।আর তাই এখন বলতে পারি রিস্ক নিয়েছিলাম বলেই স্বপ্ন নিয়ে এগুতে পেরেছি। আল্লাহর অশেষ রহমত আর পরিবারের সমর্থন আর নিজের পরিশ্রম দ্বারা সাহাবী সোর্সিং.কম কে আমি মানুষের কাছে কিছুটা হলেও আস্থার জায়গা করে তুলতে পেরেছি।আর তার ফলাফল হিসেবেই মোহাম্মদপুরে আমাদের প্রথম আউটলেট " সাহাবী ডিপার্টমেন্টাল" পথ চলা শুরু করেছে।। পরিশেষে বলবো আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে সামনে এগিয়ে যেতে অনেকগুন সাহায্য করবে।

সাহাবীসোর্সিং..কম শুরু হয়েছিল খাঁটি ঘরোয়া পণ্য সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে।